আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে র‌্যাবের অভিযনে ৮ শ ৯৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বসিলা মোড় এলাকা হতে পাথর বোঝাই ট্রাকের ভিতরে লুকায়িত ৮ শ ৯৬ (আট শত ছিয়ানব্বই) বোতল ফেন্সিডিলসহ ০৩ (তিন) মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২।
ট্রাক জব্দ।

বাংলাদেশ আমার অহংকার এই শ্লোগান নিয়ে র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাদক দ্রব্য উদ্ধারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের যুব সমাজ তথা নতুন প্রজন্ম’কে মাদকের নীল দংশন হতে পরিত্রান এবং সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে মাদক বিরোধী অভিযানে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব ও কঠোর অবস্থান নিয়ে আসছে এবং নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সন্ত্রাস, চরমপন্থী ও ধর্মীয় জঙ্গিবাদ নির্মূলের পাশাপাশি মাদক বিরোধী অভিযানে র‌্যাব বলিষ্ঠ পদক্ষেপ রেখে চলেছে। গোয়েন্দা ও নিয়মিত আভিযানিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদকের চোরাচালান, চোরাকারবারী, চোরাচালানের রুট, মাদকস্পট, মাদকদ্রব্য মজুদকারী ও বাজারজাতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। র‌্যাব-২ সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবদান রেখে চলেছে।

গত কাল  র‌্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বেড়ীবাঁধ তিন রাস্তা মোড়স্থ তালুকদার হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট এর সামনে পাকা রাস্তার উপর ট্রাকে করে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য (ফেন্সিডিল) নিয়ে মোহাম্মদপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করার জন্য নিয়ে যাবে। প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র‌্যাবের আভিযানিক দল অদ্য ১৫/০২/২০১৯খ্রিঃ ০১.০৫ ঘটিকায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বেড়ীবাঁধ তিন রাস্তা মোড়স্থ তালুকদার হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট এর সামনে পাকা রাস্তার উপর উপস্থিত হয়ে আটকের অপেক্ষায় ওৎ পেতে থাকে। অতপর ০১.২৫ ঘটিকায় ট্রাকটি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে থামার জন্য সংকেত দেওয়া মাত্র, র‌্যাবের উপস্থিত টের পেয়ে ট্রাক থামিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা কালে (১) মোঃ কামাল হোসেন (৪৫), (২) মোঃ খাইরুল ইসলাম (২৮) (হেলপার), (৩) মোঃ রাখেজ মোল্লা (২০) কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ফেন্সিডিলের চালান সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রথমে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাকের ভিতরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ফেন্সিডিলের কথা স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্য মতে ট্রাকের কেবিনের ভিতর চালকের সিটের পিছনের ৪ টি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ফেন্সিডিলের চালান পাওয়া যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে অভিনব পন্থায় নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজসে (ফেন্সিডিল) গাইবান্ধা জেলা হতে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে তাদের পরিবহনকৃত ট্রাকে বহন করে বিক্রয় ও সরবরাহ করার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসছিল। জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা আরো জানায়, ট্রাকে করে ট্রাক মালিকের অজান্তে বিভিন্ন মালামাল পরিবহনের অন্তরালে গাইবান্ধাসহ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলা হতে মাদকদ্রব্য (ফেন্সিডিল) ক্রয় করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ ও বিক্রয় করে আসছিল। বরাবরের মত আজকের এই চালানটি গন্তব্যস্থানে পৌছে দিতে পারলে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হতো। এই ভাবে আরো দুই থেকে তিনটি চালান পৌছে দিতে পারলে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় হবে বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। মূলত তারা লোভে পরে কাজটি করে।

এছাড়াও ধৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র‌্যাব-২ এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখবে।